এসএসসি(ভোকেশনাল) -
শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-১
দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) |
- | NCTB BOOK
194
194
অধিক উৎপাদনের জন্য চিংড়িকে চাপমুক্ত রাখা উচিত। কিন্তু শেওলা পরিষ্কার, জাল টানা, ঘের মেরামত প্রভৃতি কাজের জন্য চিংড়ি পীড়নের শিকার হয় ফলে চিংড়ির মৃত্যু হার বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে করণীয় হলো-
ঘেরের শেওলা নিয়মিত ও ধাপে ধাপে পরিষ্কার করতে হবে।
শেওলা তুলে তা পুকুরের বা ঘেরের পানির আশে পাশে রাখা যাবে না।
চিংড়ি ছোট থাকা অবস্থায় অধিক রোদ থাকলে এবং খোলস বদলানোর সময় শেওলা পরিষ্কার করা যাবে না।
আংশিক আহরণের জন্য বড় ছিদ্রযুক্ত আটল, চাড় জাল ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে তা নাহলে ছোট চিংড়ি জালে আটকে আহত হবে।
পানি পরিশোধনের পর বা ব্লিচিং পাউডার প্রয়োগের পর কিছুদিন হররা টানলে শেওলা কম জন্মে।
মাটি ও পানির ওপর নির্ভর করে পরিমাণমত চুন (ডলোমাইট) ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) ২ কেজি হারে ডলোমাইট প্রয়োগ করা ভালো।
পীড়ন প্রতিরোধী ঔষধ ২ গ্রাম/কেজি হারে খাদ্যে ব্যবহার করলে রেণু পোনার পীড়ন হ্রাস পায়।
হাপা বা পয়েন্টে পানির গভীরতা কমপক্ষে ৪ ফুট হতে হবে এবং তলায় ৪ ইঞ্চি পরিমাণ ভালো কাদা থাকতে হবে। হাপার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ছাউনি বা কঞ্চির আঁটি তৈরি করা যেতে পারে।